জ্বীন-ভূত হাজির করার নিয়ম

ভূত পেতনী হাজির করার নিয়মঃ

 প্রথম একটি ঘরকে হাইল মাটি দ্বারা লেপিতে হইবে৷ তারপর দুইখানা জায় নামাজের সমান পবিত্র বিছনা লইতে হইবে। 
একখানা বিছানার মধ্যে কবিরাজ নামাজের কায়দায় পূর্বদিকে মুখ করিয়া বসিবেন ! অন্য বিছানায় কবিরাজের সামনে জ্বীন,ভুতে ধরা রোগীকে পশ্চিম দিকে মুখ করিয়া বসাইতে হইবে | কবিরাজ ও রোগীর মাঝখানে একহাত জায়গা ফাঁক রাখিতে হইবে ৷ পরে সিন্দুর সরিষার তৈলে গুলিয়া ঐ ফাক জায়গায় বাম হাতের ছোট আঙ্গুল দ্বারা একটি মানুষের মূর্তি আকিতে হইবে ৷ আসনে দুধ; কলা, আগর বাতি ও পাঁচ টাকা জরিমানা প্রাপ্য ৷ আসনের বাম দিকে কলার মাইচ পাতার মধ্যে উপরোক্ত দ্রব্যগুলি সুন্দর করে সাজাইয়া রাখিতে হইবে ৷ তাহার পর কবিরাজ উপরোক্ত যে কোন একটি রামকুগ্ডলী তিন দফা পাঠ করে নিজের চারদিকে গোল করে দাগ দিবেন! যাতে ভুত পেতনী কবিরাজের ক্ষতি করতে না পারে৷ 


পরে সরিষার তেলে গুলা সিন্দুর কবিরাজের নিজের বাম হাতের ছোট আঙ্গুলের মধ্যে সিন্দুর দ্বারা প্রথম মূর্তির ছোট আঙ্গুলের মধ্যে লাগাইয়া মুক্তির কপালে ফোটা দিবে, তাহার পর রোগীর কপালে ও পরে আসনের কলার পাতার মধ্যে ফোটা দিতে হইবে৷ উক্ত নিয়মে তিনবার তিনটি সিন্দুরের ফোটা মূর্তির কপালে, রোগীর ও কলা পাতার মধ্যে দিতে হইবে ৷ তাহার পর তিনটি জবা ফুল লইয়া কবিরাজ নিজের দুই হাত একত্র করে তিন দফা ফুলের মধ্যে ফুক দিয়া রোগীকে কবিরাজের মত দুই হাত একত্র করতে বলবেন, এবং রোগীর দুই হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলের মাঝামাঝি একটি জবা ফুল হাত দিয়া ধরিয়া কবিরাজ রোগীকে তিন দফা প্রশ্ন করবেন যে,

আপনার উপর জীন, পরী, ভৃত.পেতনী, মাদার, কালী কোন কিছুর আছর আছে কিনা।

 রোগী -হাঁ আছে...
 তিনবার বলতে হইবে ৷

 কবিরাজ...  রোগীকে লক্ষ্য করে বলবেন, আমি ডাকলে আমার আসরে ভূত পেতনী আসবে৷ 

রোগী- হ্যা বলবে ৷ তিনবার বলতে হইবে৷

 কবিরাজ-রোগীকে লক্ষ্য করে বলবেন, সত্যি বলছেন তো ভূত পেতনী আসিয়া আমার সঙ্গে কথা বলবে।


 

রোগী -সত্যি বলছি ভূত পেতনী আমার উপর হাজির হয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলবে ৷ তিনবার বলতে হইবে৷
 তাহার পর কবিরাজ রোগীকে রোগীর হাতে ফুলের দিকে এক দৃষ্টিতে চাইয়া থাকিতে বলিবেন ও বাকী ফুল দুইটি কলার পাতার মধ্যে রাখিয়া দিবেন ৷ ততক্ষণাৎ কবিরাজ ছোট একখানা লাঠি দ্বারা ঐ মূর্তির মধ্যে আঘাত করতে করতে করতে ভুত হাজির করা চালানি মন্ত্র পড়িয়া রোগী ও মূর্তির শরীরে ফু দিতে থাকুন ৷ যদি ভূত পেতনী, মাদার কালি বার ভাই বইশাল জীন, পরী কোন কিছুর আছর উত্ত রোগীর উপরে থাকে তবে অবশ্যই আল্লাহর রহমতে আধা ঘন্টার মধ্যে আসিয়া পড়িবে ; মাঝে মাঝে উপরোক্ত দুইটি চালানী গান অথবা মূরশীদি গান গাহিতে হইবে৷ কবিরাজ নিজে বা অন্য লোকে গান গাহিলেও চলিবে ৷ যদি কোন দুষ্ট লোক আসন ঘরে থাকে যে 

ভুত পেতনী ঘরে রোগীর উপর আসতে দেয়ব  না বন্ধ করে নিম্ন লিখিত পানি পড়া মন্ত্র তিনবার পাঠ করে পানির মধ্যে ফুক দিয়ে নিজ চার পাশে ও আসনের চার দিকে ছিটাইয়া দিয়া চালানী মন্ত্র ও গান গাহিলে মাটি ভেদ করে যে কোন একটি রাম কুণ্ডলী দ্বারা রোগীর চতুরদিকে দাগ দিতে হইবে ৷ অর্থাৎ মন্ত্র পাঠ করতে করতে রোগীর চারি দিকে  লাঠি দ্বারা আঁক দিতে হইবে ৷ রাম কুণ্ডলীর ভিতরে যদি একবার আছেব পড়িয়া যায় ৷ নিজের চেষ্টায় আছেব ভাগিতে পারিবে না ৷


(পরিক্ষিত) 

 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

এখানে ক্লিক করে বই ডাউনলোড করুন